হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও অভিযুক্তদের জামিনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা গঠনে আইন প্রণয়ন ও অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’র সংগঠক ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও অভিযুক্তদের জামিনের ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, ‘অহিংস গণঅভ্যূত্থান বাংলাদেশ’ নামক সিভিল রাইটস (নাগরিক অধিকার) সংগঠন বিদেশে পাচারকৃত ও দেশের মাঝে পুঞ্জিভূত থাকা অবৈধ অর্থ উদ্ধার করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে অহিংস নীতিতে শান্তিপূর্ণ সাংবিধানিক পন্থায় ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” শিরোনামে দুর্নীতি বিরোধী একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য ২০২১ সাল থেকে কাজ করে আসছে। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের তৃণমূল পর্যায়ের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের কাছে থেকে আইনের প্রস্তাবের প্রতি সমর্থনকারীদের অনুস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।
২০২৪ খ্রী: জুলাই আগষ্ট এ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণার পর গত ১৮ আগষ্ট, ২০২৪ ইং ‘অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” শিরোনামে প্রস্তাবিত দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ আইনের রূপরেখা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ইউনুস সাহেবের বরাবরে জমা দেয়া হয়।
সে সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে আইনের প্রতি ব্যাপক গণমানুষের সমর্থন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। সে মতে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করি। এবং পরবর্তীতে গত ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ইং তারিখে আইনের প্রতি ব্যাপক গণমানুষের সমর্থন প্রদর্শন করার লক্ষো ঢাকার শাহবাগে সমাবেশ আহ্বান করি। অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। এছারা বেশ কিছুদিন আগেই সমাবেশটি আহ্বান করা হয়েছিল।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য এই যে, আহুত সমাবেশে গ্রামের সাধারণ শ্রমজীবি নারীপুরুষ উপস্থিত হলে তাদের উপর হামলা মারপিট করে সমাবেশ পন্ড করে দেয়া হয়। এরপর সংগঠনের নেতা কর্মীদের ওপর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা ১৮ টি দায়ের করা হয়। বিগত সরৈাচারী সরকারের আমলে ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এক্ষণে সরকার দুর্নীতি বিরোধী বিশেষ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত খবরে আমরা জানতে পেরেছি।
“অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা” নামক প্রস্তাবিত আইনের বিশেষত্ব ছিল, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার একটি স্বাধীন জাতীয় সংস্থা গঠন করবে। আইনের দ্বারা গঠিতব্য জাতীয় সংস্থা বিদেশে পাচারকৃত ও দেশের মাঝে পুঞ্জিভুত অবৈধ অর্থ উদ্ধার করে রাষ্ট্রের মালিক পুঁজিহীন তৃণমূল পর্যায়ের কৃষক, শ্রমিক, হকার, বেকারসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে বিনা সুদে, বিনা জামানতে, সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য ঋণ হিসেবে পুঁজি প্রদান করবে। সরকার দুর্নীতি বিরোধী যে আইনটি প্রণয়ন করতে যাচ্ছেন, সে আইনটি যেন তৃণমূল পর্যায়ের শোষিত, বঞ্চিত নিপিড়ীত পুঁজিহীন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষদেরকে পুঁজি প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয় সেটাই কাম্য।
অতএব “অবৈধ অর্থ উদ্ধার ও গণমুখী বিনিয়োগ জাতীয় সংস্থা গঠনে আইন প্রণয়ন ও অহিংস গণঅভ্যূত্থান বাংলাদেশ’র সংগঠক নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও অভিযুক্তদের জামিনের ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানাচ্ছি।